তুলনামূলক বিবরণ
ক্রম |
সাধারণ মাস্ক |
আবিষ্কৃত এয়ারফ্রেসনার ক্যাপ |
১ |
বায়ুবাহিত জীবাণু প্রতিরোধে পুরোপুরি সক্ষম না |
বায়ুবাহিত জীবাণু প্রতিরোধে পুরোপুরি সক্ষম |
২ |
সাধারণ মাস্ক ব্যবহার করে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হয় |
এয়ারফ্রেসনার ক্যাপ ব্যবহারের ফলে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার প্রয়োজন হবে না। |
৩ |
সাধারণ মাস্ক ব্যবহারে করে করোনা রোগীর সেবা-যত্ন করা, গণপরিবহনে চলাচল ইত্যাদি ঝুকিপূর্ণ। |
এয়ারফ্রেসনার ক্যাপ ব্যবহার করে করোনা রোগীর সেবা-যত্ন করা, ডাক্তার, শিক্ষক, সাংবাদিক, অফিস, আদালত, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, স্বাস্থ্যকর্মী, ছাত্র, ছাত্রী, গণপরিবহনে চলাচল করা, বাজার, মার্কেট, গার্মেন্ট কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ তাদের স্বাভাবিক কাজকর্ম নিরাপদে করতে পারবেন। |
৪ |
সাধারণ মাস্ক এমনকি কেএম ৯৫ পরে যখন আমরা শ্বাস-প্রশ্বাস নেই তখন ছেড়ে দেয়া শ্বাস-প্রশ্বাস-এর ৩০% বা তারও বেশি বাতাস পুনরায় শরীরে প্রবেশ করে। একারণে সাধারণ মাস্ক ব্যবহার করলে অস্বস্তি বোধ হয়। |
এয়ারফ্রেসনার ক্যাপ ব্যবহারে ছেড়ে দেয়া শ্বাস-প্রশ্বাস-এর ১% বাতাসও পুনরায় শরীরে প্রবেশ করেনা। একারণে এটি ব্যবহার করা স্বস্তিদায়ক। |
৫ |
সাধারণ মাস্ক ব্যবহার করে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে অনেক ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। |
এয়ারফ্রেসনার ক্যাপ ব্যবহারে আক্রান্ত হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। |
৬ |
সাধারণ মাস্ক-এর ক্ষেত্রফল খুব কম হওয়ায় শ্বাস নেয়ার সময় বায়ু খুব বেশি বেগে প্রবেশ করে। ফলে মাস্ক-এর ছিদ্রপথে জীবাণু বা করোনা ভাইরাস খুব সহজে প্রবেশ করতে পারে। |
এক্ষত্রে পুরো ক্যাপটাই মাস্ক হিসেবে কাজ করায় এর ক্ষেত্রফল সাধারণ মাস্কের তুলনায় অনেক অনেক বেশি। তাই শ্বাস নেয়ার সময় বায়ুর বেগ খুব কম থাকে। যার ফলে মাস্কের ছিদ্রপথে করোনা ভাইরাস বা অন্য যেকোন জীবাণু প্রবেশ করতে পারেনা। |
৭ |
সাধারণ মাস্ক একবার ব্যবহার করে ফেলে দিতে হয়, যা অনেক ব্যয়বহুল। |
এয়ারফ্রেসনার ক্যাপ কয়েক বছর যাবত ব্যবহার করা যাবে, এর মূল্য সাধারণ মাস্কের কাছাকাছি। |
৮ |
সাধারণ মাস্ক খুবই পাতলা |
এয়ারফ্রেসনার ক্যাপ সাধারণ মাস্কের তুলনায় ১৫-২০ গুণ বেশি পুরু হওয়ায় অনেক বেশি নিরাপদ। |
পৃথিবীর অন্য কোন দেশে এয়ারফ্রেসনার ক্যাপ নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে কিনা জানা নেই। তবে এই প্রযুক্তির কেবল সূত্রপাত হলো মাত্র। বর্তমানে যেভাবে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে তাতে নিরাপদে বেঁচে থাকার জন্য এধরনের এয়ারফ্রেসনার ক্যাপ অপরিহার্য হবে বলে আমার বিশ্বাস। আমার ধারনাতেই আছে এই ক্যাপে একটি ছোট কুলিং সিস্টেম (যা সৌর শক্তিতে চলতে পারে) যুক্ত করা হলে প্রচন্ড গরমে ঠান্ডা বাতাস এবং প্রচন্ড ঠান্ডায় গরম বাতাস শ্বাস হিসেবে গ্রহণ করা যাবে।
পরিশেষে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাতে চাই আমার এই আবিষ্কৃত এয়ারফ্রেসনার ক্যাপের কার্যকারিতা যাচাই করতঃ বাণির্জিকভাবে উৎপাদন করে সাধারণ জনগনসহ বিভন্ন মহলে সরবরাহ করা হলে বর্তমান ভয়াবহ পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটানো সম্ভব।